প্রাক্তন দ্রোহীরা যখন অর্ঘ্য পায়, তাদের কবরে যখন স্মৃতিস্তম্ভ মাথা তোলে, নতুন বিদ্রোহীরা কারাগারে ঢোকে,আর ফাঁসিকাঠে ঝোলে
Humayun Azadকতোদিন দুপুরে ঘুমিয়ে পড়েছি, গ'লে গেছি আমাদের গ্রামের আঠালো মাটির মতো। নকশি কাঁথাটি যাদু-চাদরের মতো জড়িয়ে রেখেছে আমাকে। সন্ধ্যায় জেগে উঠে মনে হয়েছে এইমাত্র ভোর হলো। মুখ ধুতে হবে, ইস্কুলে যেতে হবে। মা বলতো, 'এখন বিআইন নারে, এখন সাঁইজের বেলা।' তখন মনে হতো ঘুম ভাঙলেই তো ভোর বেলা, ঘুম যখনি ভাঙুক। অমন ভোর আর কি ফিরে পাবো কোনো দিন!
Humayun Azadআমাদের গাঁয়ের অধিকাংশ লোক গোলাপ দেখে নি, ঘ্রাণ চায় নি গোলাপের। তারা দেখে নি কোনো চোখ-ঝলসানো নাচ, কোনো দিন দেখার স্বপ্নও দেখে নি। কবিতা পড়ে নি তারা, কোনোদিন পড়ার কথা ভাবে নি। কখনো তাদের বুক থেকে চোখের জলের মতো দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে নি এ-কথা ভেবে যে এ-জীবনে তাদেরও একটি কবিতা পড়া হলো না। কেউ রাজা হ'তে চায় নি তারা। জরির পোশাক প'রে গোঁফ রেখে ধারালো তলোয়ার হাতে ক'রে ফিরতে চায় নি কেউ তারা। তারা চেয়েছে ভাত। স্বপ্ন দেখেছে মধুর মতো, তারার মতো, চাঁদের মতো, কড়িফুলের মতো ভাতের আর ভাতের আর ভাতের। জেগে উঠে দেখেছে সামনে প'ড়ে আছে শূন্য মাটির বাসন।
Humayun Azadআমাদের শহরগুলো কোনোদিন শহর হবে না। হবে বস্তি। আমাদের গ্রামগুলো আর গ্রাম থাকবে না। হয়ে উঠবে বস্তি।
Humayun Azadপালাতে পারলেই তো শুধু পারা যায় বেঁচে থাকতে।
Humayun AzadTag: autobiographical
বারোটার সময় দাঁড়ালাম পেতলের ঘণ্টাটার পাশে। ওই ঘণ্টার শব্দ গুণে আমি ইস্কুলে যাই। কতো মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে শুনেছি ওই ঘণ্টার দিগন্তের রহস্যবিভোর ধ্বনি। একজন দারোয়ান একটা বড় মুগুর দিয়ে দুটো-দুটো ক'রে ঘা দিলো। পৃথিবীতে বারোটা বাজলো, দুপুর হলো। সময়কে সেদিন আমরা বাজতে দেখলাম।
Humayun AzadTag: autobiographical
Pagina 1 di 1.
Data privacy
Imprint
Contact
Diese Website verwendet Cookies, um Ihnen die bestmögliche Funktionalität bieten zu können.